সে-যুগের ধাতব টাইপ থেকে আজকের ইউনিকোড ফন্ট। ছাপাখানার কেস থেকে কম্পিউটারের কিবোর্ড লেআউট। সময় বদলেছে, কিন্তু বাংলা লেখা ছাপার যথাযথ বিজ্ঞানসম্মত বিন্যাস কি আমরা পেয়েছি? প্রায় এক শতক আগে তৎকালীন পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কতকটা এই প্রশ্নই তুলে দিয়েছিলেন অধুনাবিস্মৃত অজরচন্দ্র সরকার। বাংলা হরফের কম-বেশি ব্যবহার অর্থাৎ পৌনঃপুনিকতার ভিত্তিতে টাইপ কেস সাজানোর প্রসঙ্গ তিনিই প্রথম উত্থাপিত করেন। পৌনঃপুন্যের বিচারে মুদ্রণে হরফসজ্জার ব্যবস্থা পুনর্বিন্যস্ত হওয়া প্রয়োজন তো বটেই, ছাপার প্রযুক্তির কথা বিবেচনায় রেখে বর্ণমালার সংস্কারও দরকার। বাংলা বর্ণমালা, হরফের গঠন, ছাপাখানার কেসের বিন্যাস ইত্যাদির নিরিখে অজরচন্দ্রের এই প্রতিপাদ্য মুদ্রণ ও ভাষাতত্ত্বের আন্তঃসম্পর্কের ধারণা আরও স্পষ্ট করে।
ধারাবাহিক প্রবন্ধের আকারে অজরচন্দ্রের প্রস্তাব সেকালে বিস্তর শোরগোল ফেলে দেয়। যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি, সুধীর মিত্র থেকে শুভেন্দুশেখর মুখোপাধ্যায়—কলম ধরেন আরও অনেকে। ছড়িয়ে থাকা তেমন সমস্ত লেখা এক মলাটে, প্রথম বার। হরফের সেই বিচার আবু জার মোঃ আককাসের সম্পাদনায়, সটীক রূপে এবং সুবিস্তৃত প্রস্তাবনা ও পরিশিষ্ট-সহ অবশেষে পাঠকের সামনে।
Reviews
There are no reviews yet.