জন্ম ১৯৩৫ সাল। সোদপুর খাদি প্রতিষ্ঠান আশ্রমে। পিতা ক্ষিতীশ দাসগুপ্ত ও মা সুনীতিবালা দেবী স্বাধীনতাসংগ্রামী। ক্ষিতীশের জ্যেষ্ঠভ্রাতা সতীশ ‘বাংলার গান্ধী’ নামে পরিচিত। সোদপুর আশ্রমে গান্ধীজির কোলেপিঠে মানুষ হওয়া ও বড়ো হয়ে ওঠা। প্রথাগত শিক্ষা বর্জন ও আশ্রমিক পরিবেশে পিতামাতা ও আশ্রমের শিক্ষক সীতাকণ্ঠ ঝা-র কাছে শিক্ষালাভ। গান্ধী-অনুরাগী পরিবারে জন্ম হলেও কমিউনিস্ট মতাদর্শে আজীবন বিশ্বাসী। যুক্ত ছিলেন আর.সি.পি.আই. দলে। সাংবাদিকতা দিয়েই কর্মজীবন শুরু ও শেষ।
‘স্মৃতির সরণি বেয়ে’ এক অনন্য দলিল। স্মৃতির পরতে পরতে ইতিহাসের সাক্ষ্য-প্রমাণ। সোদপুরের খাদি প্রতিষ্ঠান আশ্রমের ইতিহাস। স্বাধীনতাসংগ্রামে ওই প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বের ইতিহাস। ভারতের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি (আর.সি.পি.আই.)-র ইতিহাস। স্বাধীনতা-পরবর্তী পর্যায়ে ভারতবর্ষের চলমান রাজনীতির ইতিহাস। একইসঙ্গে বিশ্ব-কমিউনিস্ট আন্দোলনের টুকরো টুকরো স্মৃতি। পান্নালাল দাসগুপ্তের অনুগামী ও সহযোদ্ধা হয়ে তাঁর সম্পাদিত ‘কম্পাস’ পত্রিকায় যুক্ত হওয়া। নিখিল চক্রবর্তী সম্পাদিত ‘মেইনস্ট্রিম’ পত্রিকা, ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকা-সহ নানান পত্রিকায় কাজ করার স্মৃতি। শেষে গান্ধী হত্যার পূর্বাপর বিবরণ।
Reviews
There are no reviews yet.