সংগৃহীত বইয়ের খবর – সপ্তাহ #২

📒 ভারতবর্ষ আবিষ্কার – জহরলাল নেহেরু 🖊 অনুবাদ: মনিরত্ন মুখোপাধ্যায় 🔉 মিত্র ও ঘোষ 🔖 ৮০০টাকা

সাম্প্রতিক কালে জেলখানার একটি ভালনাম হয়েছে: ‘সংশােধনাগার। পরাধীন ভারতে এই নাম ছিল না। | ‘জেলখানা’ বলেই ডাকা হত তাকে। আর জেলে-যাওয়া ব্যক্তিমাত্রই যে অপরাধ করেছেন, এরকমটাও জনমানুষের মনে হত না। কারণ কিছু কিছু অপরাধ সম্মানার্হ। স্বদেশমুক্তির জন্য কারাবাস ছিল এমনই এক অপরাধ। এই অপরাধে পণ্ডিত | জওহরলাল নেহরু অবশ্যই। ‘অপরাধী’। এই জেল আবার। অপরাধীদের কাছে একটা সৃষ্টিকর্মের ক্ষেত্র। অরবিন্দ ঘােষের যদি কারাবাস না ঘটত, তাহলে তিনি হয়তাে ‘ঋষি অরবিন্দ’ হতেন না—অন্তত জেলে-বসে লেখা তার। | ডায়েরি এমন কথাই বলে। | নেহরুজিও তার ভারতকে আবিষ্কার। করতে পারতেন না। লৌহ যবনিকা হয়তাে আত্মাবিষ্কারের একটি তপােবন। পাঁচমাস ধরে জেলে বসে হাজার পৃষ্ঠায় নেহরুজি প্রাচীন বা বৈদিক ভারতের সম্পদ থেকে বৌদ্ধ ভারত পার হয়ে ক্রমে মধ্যযুগের ভারতের সাধনার পর্বকে চিন্তনরাজ্যের অধিবাসী করে রেখে ধীরে আধুনিক ভারতে পৌঁছে গিয়েছেন সাতটি পরিচ্ছেদ রচনার পর। তারপরে সেই স্বপ্নজড়িত ভারতের স্বপ্নজড়িমা জটিল হয়ে পড়েছে। মহাভারতগীতা-জাতক-কবীর-নানকরা অন্তরালবর্তী হয়েছেন গান্ধীজি এসেছেন, জিন্না এসেছেন— এসেছে সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি। আলােকিত ভারত সহসা তমসাচ্ছন্ন। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি কারাবাসে ভারত খুঁজছিলেন! শেষে আলােকের জন্য তপস্যা দিয়ে ‘দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া’ শেষ হয়েছে। পণ্ডিত নেহরুর এই গ্রন্থসম্পদ এতকাল বাংলা ভাষার পাঠকের কাছে দূরবর্তী ছিল। মণিরত্ন মুখােপাধ্যায় বাংলায়-এর সুচারু অনুবাদ করে বাঙালির কাছে মণিরতনের ভাণ্ডারটিকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন আর সেই ঘরে প্রবেশাধিকার দিয়েছেন।

সংগৃহীত: প্রতিদিন, ২৩শে আগষ্ট ২০১৯

ভারতের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাড়ি বসে বইটি অর্ডার করতে Whatsapp করুন 7980991691 নম্বরে


📒 কোজাগরি 🖊 ব্রততী সেন দাস 🔉 ধানসিড়ি 🔖 ১৫০টাকা

কিছু গল্প আগে প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, কিছু গল্প আবার নেহাৎই আনকোরা। সব মিলিয়ে দশটি গল্পের সংকলন এই বই আমাদের রােজকার জীবনের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলােই গল্পে প্রকাশ করেছেন ব্রততী, সব গল্পের মধ্যেই তিনি মেলে ধরেছেন আশ্চর্য এক জীবনবােধ, যেখানে মানুষ হেরে যেতে যেতেও হারে না। উঠে দাঁড়ায় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। সেখানেই অনন্য হয়ে ওঠে ব্রততীর কলম। মৃণাল শীলের আঁকা বইয়ের প্রচ্ছদ বড় প্রাপ্তি।

সংগৃহীত: এই সময়, ২৫শে আগষ্ট ২০১৯

ভারতের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাড়ি বসে বইটি অর্ডার করতে Whatsapp করুন 7980991691 নম্বরে


📒কথা-কবিতার কথকতা 🖊 সত্রাজিৎ গােস্বামী 🔉 পরম্পরা 🔖২৫০ টাকা

সাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধের সংকলন। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রবন্ধেরই সংকলন মূলত, যদিও ভূমিকায় লিখেছেন লেখক, ‘একান্ত ভেতরের তাগিদ থেকে লেখা রচনাও এখানে কয়েকটি আছে।’ বইটির দু’টি ভাগ— ‘কথা-র কথকতা এবং ‘কবিতার কথকতা। আলােচনায় এসেছে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, অদ্বৈত মল্লবর্মন, মহাশ্বেতা দেবী, নবারুণ ভট্টাচার্য, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখ। বাংলা সাহিত্যের অনুরাগীদের ভিন্ন দৃষ্টিকোণের সন্ধান দেবে, আশা করা যায়।

সংগৃহীত: এই সময়, ২৫শে আগষ্ট ২০১৯

ভারতের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাড়ি বসে বইটি অর্ডার করতে Whatsapp করুন 7980991691 নম্বরে


📒 অনু-সঙ্গ 🖊 অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায় 🔉 কারিগর 🔖 ৪০০টাকা

আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই থাকে কিছু-কিছু অনুচ্চারিত অনুভূতি, যেগুলাে অনেক সময় দিনের আলাের মতাে স্পষ্ট ও প্রজ্জ্বল, আবার কখনও-কখনও দস্তুরমতাে অন্ধকার। প্রতিদিনের বিরাট কর্মকাণ্ডের মাঝে চট করে জীবন হাতড়ে সেই সব অনুভূতিকে ঝেড়ে-বেছে প্রকাশ্যে নিয়ে আনা বেশ দুরূহ, অথচ সেই কাজটাই কী প্রাণবন্তভাবে করেছেন অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর “অনু-সঙ্গ’ বইটিতে। আমরা যে জটিল সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, সেখানে মনের হীনাবস্থাকে অনুত্তমা অতি চমৎকারভাবে হাত ধরে নিয়ে গেছেন সম্ভাব্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে। ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, হাসি-তামাশার মধ্যে দিয়েও যেন অনেক কঠিন কথা সরলভাবে বলে দিয়েছেন। সেই কারণেই লেখিকার  নিজস্ব অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে পাঠকেরও অভিজ্ঞতা। সেক্ষেত্রে বইটির ‘অনু-সঙ্গ’ নামটি যথার্থ ও প্রাসঙ্গিক।

সংগৃহীত: আজকাল, ২৫শে আগষ্ট ২০১৯

ভারতের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাড়ি বসে বইটি অর্ডার করতে Whatsapp করুন 7980991691 নম্বরে


📒 মেয়েদের চোরাগোপ্তা স্ল্যাং-শরীর ও অন্যান্য আলাপ 🖊 তৃপ্তি সান্ত্রা 🔉 কারিগর 🔖 🔖 ৪৫০টাকা

তৃপ্তি সান্ত্রার মেয়েদের চোরাগােপ্তা স্ল্যাং: শরীর এবং অন্যান্য আলাপ’ সাম্প্রতিক বাংলা গদ্যে একটি অত্যন্ত জরুরি ও সাহসী সংযােজন। পুরুষশাসিত সমাজ দীর্ঘদিন ধরেই নারীর একটি শান্ত, শ্রীময়ী, গৃহলক্ষ্মীর ইমেজ তৈরি করে রেখে দিয়েছে। মান্য জগতের মেয়েদের সঙ্গে স্ল্যাং যেন ঠিক মানায় না। অথচ জীবনের অভিজ্ঞতা বলে সম্পূর্ণ অন্য কথা। দেখা যায়, শিক্ষিতা, সুন্দরী, বিদুষীরা অনর্গল স্ল্যাং বলে চলেন। পরিবেশনার গুণে ও উপস্থাপনার দক্ষতায় সেগুলাে অনবদ্য। প্রতিদিনের জীবনে বঞ্চনা, অবদমন, রাগ, আনন্দের প্রকাশে সাধারণ ঘরের ঠাকুরমা, দিদিমা, বউদিরাও অনায়াসে স্ল্যাং ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন ধরে সেইসব স্ল্যাং সংগ্রহ করেছেন তৃপ্তি। নারীর অন্তর্জগৎ ও অন্দরমহলকে চেনা যায় তাঁর এই বইটি পাঠ করলে।

সংগৃহীত: আজকাল, ২৫শে আগষ্ট ২০১৯

ভারতের যেকোনো প্রান্ত থেকে বাড়ি বসে বইটি অর্ডার করতে Whatsapp করুন 7980991691 নম্বরে

Leave a Reply

×